বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণবিধিতে কিছুটা শিথিল করা হয়। বিধিনিষেধ জারি থাকায় লোকসানে চলছে হোটেল–রেস্তোরাঁ ব্যবসা। নবান্ন সভাঘরে বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছাড় দেওয়ার আবেদন করলেন হোটেল শিল্পের প্রতিনিধি। আর তাতে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, সমস্ত কোভিড বিধি মেনে বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হোটেল এবং রেস্তোরাঁ খোলা রাখা যাবে। তবে কর্মীদের আগে টিকা দিতে হবে।
হোটেল, রেস্তোঁরার ব্যবসা আরও বেশি করে অনলাইনে চালানোর পরামর্শ দিয়ে মমতা বলেন, ‘মিষ্টির দোকান আমরা ১০টা থেকে ৫টা খোলা রাখতে বলেছি। রেস্তোঁরাও খোলা থাক। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে বিকেল ৫টা থেকে ৮টা পর্যন্ত রেস্তোঁরা খোলা রাখতে পারেন। তবে কর্মীদের টিকা দিতে হবে। সমস্তরকম সুরক্ষাবিধি বজায় রাখতে হবে।’ তখন এক প্রতিনিধি বলেন, ‘ম্যাডাম আমাদের ৫টার পরে ব্যবসা হয়। যদি ৫টা থেকে ৯টা করে দিতে পারেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘৫ থেকে ৮টা করে দাও। তাঁদের দূরত্ববিধি, মাথায় টুপি ও হাতে গ্লাভস পরে কাজ করতে হবে। ওঁরা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে। তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।’
জামা–কাপড়ের দোকান খোলা নিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জামা–কাপড় এবং খুচরো বিক্রির দোকান সন্ধ্যায় খোলার অনুরোধ করেছিলেন বণিক সংগঠনের সদস্যরা। কিন্তু সব দোকান সন্ধ্যায় খোলা রাখা যাবে না। সংক্রমণের কথাও মাথায় রাখতে হবে।’ খুচরো দোকানগুলি ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলার ছাড়পত্র দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা আরও ১ ঘণ্টা বাড়ল। পরের ধাপে ১২টা থেকে ৪ পর্যন্ত খুচরো দোকান খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, আমরা কিন্তু ব্যবসায়ীদের কথা ভেবেছি। অন্য রাজ্যের মতো লক ডাউন করিনি। কারফিউ জারি করিনি। বাজার দোকান পুরোপুরি বন্ধ করিনি। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে ১৫ জুন থেকে শপিং মল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে খবর।
