দেশজুড়ে চলছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি লোকসভা কেন্দ্র- তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণপুরে ভোটগ্রহণ চলছে। সবকটি বুথই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে। সকাল থেকেই তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণপুর থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত কেশপুর। হিরণের বিরুদ্ধে বাড়ছে বিক্ষোভ। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। কেউ তেড়ে গেলেন বাঁশ-লাঠি নিয়ে। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী হিরণ এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছেন। শুক্রবার রাতে হিরণ এলাকায় বিজেপি কর্মীদের পাঠিয়ে গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ। প্রায় ঘণ্টাখানেক গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ আটকে থাকে হিরণের গাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকাল হতে হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। পরে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন হিরণ।
তাঁর অভিযোগ, ১৮২টি বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে হিরণের বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের থেকেও খারাপ অবস্থা! কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। তৃণমূল, রাজ্য পুলিশ এবং বাহিনীর মধ্যে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়ে গেছে! কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এইভাবে কি ‘শ্রেষ্ঠ’ নির্বাচন করাচ্ছে কমিশন? সেই প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থী হিরনের।