রাজ্য লিড নিউজ

অষ্টমী ছাড়া সবদিন খোলা থাকবে হাসপাতালের আউটডোর

পুজোর মুখে এবার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নয়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা-মহকুমা-ব্লক হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, অ্যাডিশনাল সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের আগাম অনুমতি ছাড়া উৎসবের মরশুমে শহরের বাইরে যেতে পারবেন না তাঁরা। এর পাশাপাশি পুজোয় শুধু অষ্টমীর দিন ছাড়া, বাকি সব দিন আউটডোর খোলা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এমনিতেই পুজোর মরশুমে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। নিত্যদিনই জেলায় জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। গত ৪ দিনে এখনও পর্যন্ত মোট ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৩ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

এর আগে ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দফায় দফায় জেলাশাসককদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিটি পুরসভাকে পুজোর আগে থেকেই ‘হেল্পলাইন’ চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। যাতে সাধারণ মানুষ কোনও এলাকায় জঞ্জাল ও জমা জল দেখলেই পুরসভাকে খবর দিয়ে পরিষ্কার করাতে পারে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য চিকিৎসার উপযুক্ত ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয়, সরকারি কর্মসূচি নয়, ডেঙ্গি মোকাবিলাকে অভিযান হিসেবে দেখতে হবে।

সম্প্রতি ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রতিটি ওয়ার্ড স্তরে মাইক্রো প্ল্যান করার নির্দেশও দেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেঙ্গি প্রতিরোধে সাফাই অভিযান কতটা হচ্ছে? ঠিকমতো মানুষের কাছে প্রচার করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? সেদিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।