বিজেপি–শচীন পাইলট যৌথ কেমিস্ট্রিতেই কী রাজস্থানে টলমল কংগ্রেস সরকার? এই প্রশ্নই এখন বড় করে চর্চিত হচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কারণ প্রতিবারের মতো এবারও বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছে সেই বিজেপি’র বিরুদ্ধেই। আর বিজেপি’র মহড়া হিসাবে কংগ্রেস শচীন পাইলটকে চিহ্নিত করেছে। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস বিধায়কদের ও যেসব নির্দলরা সরকারকে সমর্থন করছেন, টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দাবিকে সত্যি প্রমাণিত করে উদয়পুর থেকে ১.২৫ কোটি টাকা ভর্তি একটি গাড়ি উদ্ধার করল সে রাজ্যের পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এত বিপুল অর্থ নগদে কেন ছিল? কার উদ্দেশ্যে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর খতিয়ে দেখছে রাজস্থান পুলিশ। যদিও শচীন দাবি করেছিলেন, আমি কোনওদিনই বিজেপিতে যোগ দেব না। আমার নাম বিজেপি’র সঙ্গে যুক্ত করার পেছনে আমাকে বদনাম করার চাল রয়েছে। হাইকমান্ডের কাছে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আরও বিপাকে পড়েছে রাজস্থান পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দাবি, ষড়যন্ত্র হয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমাদের উপ–মুখ্যমন্ত্রী আর প্রদেশ সভাপতি নিজে এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। আর উনি দাবি করছেন এসব কিছুই হয়নি।অশোক গেহলট দাবি করেন, বিগত ছয় মাস ধরে শচীন বিজেপি’র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।
উল্লেখ্য, দলের হুইপ অমান্য করে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক এড়িয়েছেন বিধায়করা। এই অভিযোগ জানিয়ে ১৯ জন বিধায়ককে মঙ্গলবার নোটিশ পাঠান স্পিকার। সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টে যান শচীন। কংগ্রেস–গেহলট পক্ষের জারি করা ডিসকোয়ালিফিকেশন নোটিশের বিরোধিতা করে শচীনদের বক্তব্য, কোনও দলবিরোধী কাজে তাঁরা লিপ্ত নয়। এই মর্মেই গত সপ্তাহে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন শচীন পাইলট এবং তাঁর অনুগামী বিধায়করা। সেই মামলার রায় বের হবে ২৪ জুলাই।