গত তিন মাস ধরে অগ্নিগর্ভ মণিপুর। এরি মধ্যে নতুন করে বিতর্ককে উস্কে দিল বুধবারের ভাইরাল একটি ভিডিও। বুধবার রাত থেকেই মণিপুরের বিধ্বংসী কাণ্ড নিয়ে উত্যক্ত গোটা দেশ। এক নেতার টুইট থেকে প্রথম ভাইরাল হয় ভিডিওটি। যেখানে দেখা গিয়েছে, দুজন কুকি মহিলাকে পুরো গ্রাম জুড়ে নগ্ন অবস্থায় জোর করে প্যারেড করাচ্ছেন একদল মেইতি জাতিগোষ্ঠী। এমনকী অভিযুক্তের দল রীতিমতো দুটি মহিলার গোপণাঙ্গ ধরে রেখেছে। যা কিনা নোংরা-অশ্লীলতার চরমে। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৪ মে, মণিপুর রাজ্যের কাংপোকপি জেলায়। ইতিমধ্যেই মণিপুর জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দুই জাতিগোষ্ঠীর দাঙ্গা নিয়ে। এই অবস্থায় সেই আগুনে ঘি দিল এই ভয়াবহ ভিডিওটি। যা দেখে আতঙ্কিত গোটা দেশ।
দুটি মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় ঘুরিয়ে তারপর তাঁদের রীতিমতো গ্যাং ধর্ষণ করা হয়। সেখানকার এক আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ, তাঁদের একটি মাঠে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে । এই অরাজকতা আর কতদিন চলবে দেশে? ঘটনাটি নিয়ে গোটা দেশজুড়ে রীতিমতো ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবি উঠেছে।
জানা গিয়েছে, মণিপুরের দুই কুকি যুবতীকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘৃটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক নরপিশাচকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থাউবাল জেলা থেকে হীরা দাস নামে ৩২ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। বাকি অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ তল্লাশি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।