মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এগরার খাদিকুল গ্রাম। গ্রামবাসীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখেন, স্থানীয় একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে মানুষের মৃতদেহ ও দেহাংশ। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে গিয়েছে বাজি কারখানার চালা। ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে পাকা দেওয়াল। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও পুলিশবাহিনী। আহতদের উদ্ধার করে অ্যম্বুলান্সে করে এগরা মহকুমা হাসপাতালে পাঠান তাঁরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
এলাকাবাসীর দাবি, এই এলাকায় বাড়ির মধ্যে একাধিক অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে। এই কারখানাগুলির ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই পুলিশ প্রশাসনের। ফলে আগেও এলাকায় এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পর পর বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু বাস্তবে বিষয় হল পয়াগ, পুরন্দা থেকে শিক্ষালাভ করেনি প্রশাসন।
সূত্রের খবর, এগরা বাজি কারখানায় বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বাজি তৈরিতে বিপুল পরিমাণ মশলা ব্যবহার করায় এই বিস্ফোরণ ঘটে এবং এই বিস্ফোরণে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
কি বলছে পুলিশ? পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথকে সংবাদমাধ্যমে জানান, “ওড়িশা সীমানা থেকে কিছুটা দূরে একটা বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল। বিস্ফোরণের জেরে এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন চার জন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।”
এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি জানান, ‘আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বেআইনি পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। কতজন মারা গেছে এখন বলতে পারব না। আমি বিধায়ক হওয়ার পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। পুলিশ টহলও দিয়েছে, তবে তা গোপনে চলছে।”