শীতের সময় ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আর সে কারণেই পায়ের পাতার চামড়া খসখসে হয়ে যেতে থাকে। একটা সুন্দর জুতো পরলেও দেখতে ভালো লাগে না। এমনকি পা ফেটে রক্তও বের হয় অনেকের। ক্ষতস্থানে ধুলাবালি ময়লা ঢুকে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। ফলে পা ব্যথা হয়। হাঁটতে অসুবিধে হয়। এছাড়াও জুতো যদি ভালো না হয় তাহলেও পা ফাটতে পারে। এতে করে পায়ের চামড়া অনেকবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হাতে পায়ে আমরা নিয়ম করে তেল, ময়েশ্চারাইজার লাগালেও পায়ের পাতার যত্ন নিতে ভুলে যাই। পা ফাটা দূর করতে স্ক্রাব করতে পারেন। শুধু শীতের আবহাওয়ার জন্য নয়, শরীরে ভিটামিন, মিনারেল, জিঙ্ক, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইত্যাদি পুষ্টির অভাবের কারণেও পা ফাটতে পারে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন নিয়মিত খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান, ভিটামিন ই থাকে। জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে পা ফাটা দূর করার কিছু সহজ উপায়-
১। রাতে ঘুমানোর আগে ভালোভাবে পা ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর পা মুছে ভালোভাবে কোনো তেল মালিশ করে নিতে হবে। বিশেষভাবে পায়ের ফাটা অংশে। এরপর একটি মোটা মোজা পরে ঘুমাতে হবে। এতে সারা রাত ত্বক তেল শুষে নেবে এবং ত্বক নরম থাকবে।
২। একটি পাকাকলা ভালোভাবে চটকে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এবার পেস্ট করা পাকাকলা পায়ের ফাটা অংশে মাখিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩। গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর হালকাভাবে পা ঘষে নিতে হবে। এতে পায়ের মৃত কোষগুলো উঠে যাবে।
৪। পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে ১ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পায়ের ফাটা অংশে মালিশ করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ত্বক পুরোপুরি মিশ্রণটি শুষে নিচ্ছে। এরপর মোটা মোজা পরে সারা রাত রাখতে হবে।
৫। গ্লিসারিন এবং গোলাপ জল মিশিয়ে পায়ে মালিশ করলেও পা ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৬। খাবারের তালিকায় রাখুন ভেজিটেবল অয়েল, সবুজ শাকসবজি।
৭। পা খোলা রাখা বা খালি পায়ে হাঁটা এড়িয়ে চলতে হবে। সপ্তাহে একদিন অন্তত গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে।