দেশ ব্রেকিং নিউজ

স্বাধীনতায় স্বাধীন জমায়েত নয়

করোনা আবহে দেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নয়া নির্দেশিকা আনল কেন্দ্র। সংক্রমণ রুখতে এই বছর স্বাধীনতা দিবসে কোনও জমায়েত করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। আগামী ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি ভাবে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনে কোনও বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই দিনটি উদ্‌যাপন করতে হবে।
এরপরও কী আমরা বলব যে আমরা স্বাধীন?‌ এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে সমস্ত সরকারি অফিস, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের গর্ভনরদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যসচিব এবং রাজ্যপাল, উপ–রাজ্যপালদের নির্দেশিকা পাঠিয়ে মন্ত্রক বলেছে, স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের সময় কোভিড–১৯ মহামারির কথা মাথায় রেখে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। মাস্ক পরা এবং যথাযথ স্যানিটাইজেশন পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। জমায়েত এড়িয়ে চলতে হবে। তার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে বড় অংশের মানুষকে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনের অনুষ্ঠানে শামিল করতে ওয়েব–কাস্ট করা যেতে পারে।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনে ঘরোয়াভাবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পালন হবে। লালকেল্লার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠান হবে সশস্ত্র সেনা ও দিল্লি পুলিশের উপস্থিতিতে। তাঁরাই গার্ড অফ অনার দেবেন। জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। দেওয়া হবে ২১টি গান স্যালুট। তারপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন মোদী। ভাষণ শেষ হলেই জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হবে। সবশেষে আকাশ ওড়ানো হবে তেরঙা বেলুন। এই অনুষ্ঠানে ‘কোভিড যোদ্ধা’ যেমন— চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। এই দিনটিতে করোনা মোকাবিলায় তাঁদের ভূমিকাকে সম্মান জানানো যেতে পারে। এমনকী সুস্থ হয়ে ওঠা কোনও কোভিড–১৯ আক্রান্তকেও আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের পতাকা উত্তোলনে কোনও বাধা নেই। তবে তা হবে শুধুমাত্র জাতীয় সংগীত ও গান স্যালুটের মাধ্যমে করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঐতিহাসিক স্থানে পুলিশ/ সেনাবাহিনীর ব্যান্ডের অনুষ্ঠান রেকর্ডিং করে তা বড়পর্দা, ডিজিটাল মিডিয়া অথবা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে। বৃক্ষরোপণ, স্কুল–কলেজের বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ, স্বাধীনতার উপর প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, গান বা নৃত্যানুষ্ঠান অথবা কোনও সরকারি প্রকল্পের সূচনা–সহ এদিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানগুলি প্রযুক্তি ব্যবহার করেই করতে হবে।