রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে খুশি নন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তাই সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের ডিজিপিকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সুতরাং এই মুহূর্তে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। জেপি নাড্ডার দু’দিনের রাজ্য–সফরে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজ্য। তাঁকে ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওঠে। আর তার ওপর হামলার অভিযোগেই কড়া কেন্দ্র। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবির পুরোদমে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে ডাকা হয়েছে তাঁদের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজিপি বীজেন্দ্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নাড্ডার সফরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সরব বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। গতকালই নাড্ডার নিরাপত্তার গাফিলতি অভিযোগ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে চিঠি দেয় বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এরপর সেই চিঠিই নবান্নে পাঠিয়ে কার্যত কৈফিয়ত চায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যপালের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। রাজ্যপালের পাঠানো রিপোর্টেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার তীব্র নিন্দা করে রিপোর্ট পাঠায় কেন্দ্রের কাছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে যাওয়ার পথে জেপি নাড্ডার কনভয় লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও হয়। ওই দিন সন্ধ্যাতেই মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেই রিপোর্ট পাঠান। সবমিলিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য–রাজ্যপাল সম্পর্কে চাপানউতোর চলছেই। ১৯ অথবা ২০ ডিসেম্বর ফের রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের মাস পাঁচেক আগে থেকেই এ বার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জোর কদমে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বিজেপি। তবে নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সরাসরি ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে তলব বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।