বাংলাদেশে ঈদ–পার্বণ নয়, সারা বছরই বাজারে ভিড় লেগে থাকে। ঈদের মরশুমে তো কথাই নেই। সেই সকাল থেকে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত। আর ঈদ–পার্বণে তো বলার কিছু নেই। করোনায় জনসমাগম থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি ধীরে ধীরে যেন উঠে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এমনই ছবি ধরা পড়েছে এবং এই অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামগঞ্জে সাধারণ সময়ের মতোই মানুষের চলাফেরা চলছে। হাটে–বাজারে ভিড় করে দর–দাম করা ইত্যাদি রোজনামচা চলছেই। এই সব কাজ করতে গিয়ে সিংহভাগ মানুষ মাস্ক পরার প্রয়োজন বোধ করছেন না। অথচ করোনা থেকে নিস্তার নেই। উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর ঢাকার সদরঘাট। ব্রিটিশ আমলেই বুড়িগঙ্গা তীরে স্টিমারঘাটের গোড়াপত্তন। কলকাতা থেকে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় পা রাখতেন সাহেবরা। সেসব কথা এখন অতীত।
এখানে ঈদের দ্বিতীয় দিনে সদরঘাট নদীবন্দরে অন্য একটা বাংলাদেশ দেখতে পাওয়া গেল। নদীবন্দরের এক কিলোমিটার দূর থেকে যানজট। দীর্ঘ যানজট ঠেলে সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছনোর আগে দেখা গেল লোকে লোকারণ্য। মাস্কের পাট–বালাই নেই। সামাজিক দূরত্ব লাটে উঠেছে। কার আগে কে কোন লঞ্চে জায়গা নেবে সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তিন—চার তলা বিশাল লঞ্চ। সময়ের অনেক আগেই যাত্রী বোঝাই করে ঘাট ত্যাগ করছে দক্ষিণের পথে।
সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি না মানার বিষয়ে একজন জানান, মাইকিং করতে করতে তাঁদের গলার বারোটা বেজে যাচ্ছে। তার পরও এমন ভিড়ে কারও কোনও কথাই কেউ শুনছে না। এটা কেবল যাওয়ার ছবিটা দেখছেন। মাসের ১৫ তারিখ থেকে ফিরতি পালার চিত্র আরও ভয়ানক। তখন এটার থেকেও বেশি ভিড় থাকবে দক্ষিণ জনপদের সব ঘাটে।