নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা সন্ত্রাসবাদী রিয়াজ নাইকুর। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা রিয়াজ নাইকুকে আট বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ। বুধবার কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় নাইকুর। মঙ্গলবার রাত থেকেই পুলওয়ামা জেলার বেঘপোরায় চলছিল তল্লাশি অভিযান। দক্ষিণ কাশ্মীরের আরও দুই জায়গায় অভিযান চালানো হয়। পামপোরের শারশিল গ্রামে গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।
নাইকুর মৃত্যুর পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে জম্মু–কাশ্মীরের মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে উপত্যকাবাসীর চলাফেরার ওপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের প্রাক্তন ডিজি এস পি বৈদ্য জানান, হিজবুল প্রধান বুরহান ওয়ানির পরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিল নাইকু। ২০১৬ সালের জুন মাসে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় বুরহানের। তার পরই হিজবুলের দায়িত্ব পায় নাইকু।
হিজবুল মুজাহিদিনের অপারেশনাল কম্যান্ডার রিয়াজ নাইকুকে পুলওয়ামার বাইঘপোরা গ্রামে আটকে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়নি। শুধু জানানো হয়েছে, এখনও গুলির লড়াই চলছে। ওই জঙ্গি হিজবুলের প্রথমসারির কম্যান্ডার এবং জম্মু–কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড।