দেশ ব্রেকিং নিউজ

অসমে একই সংস্থার ৮৯ কর্মীর মৃত্যু

বন্ধ রয়েছে অসমের হিন্দুস্থান পেপার মিলের কাছার পেপার মিল। টানা ৫ বছর বন্ধ রয়েছে কর্মীদের বেতন। সম্প্রতি এই রাজ্যে হয়ে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। অনেকেই ভেবেছিলেন নতুন সরকার এসে ভাঘ্যের চাকা ঘোরাবে। কিন্তু তা হল না। তাই একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন কর্মীরা। সম্প্রতি ৫৪ বছরের আব্দুল হান্নানের মৃত্যুতে মোট সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ৮৯–তে।

এখানে সবকা সাথ সবকা বিকাশ হয়নি। বেতন নেই, কিন্তু পরিবার রয়েছে, পেট রয়েছে। ফলে সেই জ্বালা মেটাতে চারজন আত্মহত্যাও করেছেন। আব্দুলের মৃত্যুর পর অসহায়ের ছবিটা বেশি করে ফুটে উঠেছে। চিন্তার চোটে গত কয়েক মাস ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন আব্দুল হান্নান। মৃত্যু যখন গ্রাস করল পরিবারে তখন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। কেউ সাহায্য করতে আসেনি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা মেলেনি। খাবারের অভাব সংসারে দেখা দিয়েছিল। এবার আরও প্রকট হল।

যদিও একেই ভবিতব্য মানছেন আব্দুলের পরিবার। পেপার মেশিন বিভাগে চাকরি করতেন তিনি। কাছার পেপার প্রজেক্ট ওয়ার্কার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এ আর মজুমদার অভিযোগ করেন, মিলের অন্যান্য কর্মচারীদের মতো গত সাড়ে পাঁচ বছরে বেতন না পাওয়ায় চিকিৎসার খরচ চালাতে পারেনি। তাই অচিরেই এসেছে মৃত্যু।

হাইলাকান্দি জেলার পাঁচগ্রামের কাছার পেপার মিল এবং হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশন লিমিটেডের দুটি ইউনিট ও মিলই বন্ধ রয়েছে। তাও ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এখানে মোট কর্মচারীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জন। টানা ৫ বছর ধরে এরা সকলেই অবৈতনিক। তবে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’‌ট্রাইব্যুনাল এই সংস্থার সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে এইচপিসি বিক্রি করে টাকা তুলতে চেয়েছিল। নিলামের জন্য বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি—কংগ্রেস, এআইইউডিএফ, অসম জাতীয় পরিষদ (এজেপি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে এই নিলাম না করার আবেদন করে তাঁদের হস্তক্ষেপ করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। কারখানা ফের চালু করে পুনর্জীবনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধও জানান হয়েছে।