ভরা বর্ষায় ইলিশ উৎসবের ধুম লেগে যায়। সুন্দরবন হোক বা দীঘা–মন্দারমণি— কাছেপিঠে ঘুরে ইলিশের মজায় মেতে ওঠেন বহু মানুষ। কিন্তু এবার তাতে টান পড়েছে অনেকটাই। একে করোনা, তার উপর ইলিশের অভাব। সব মিলিয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ইলিশের আস্বাদ পাওয়া থেকে এবার একপ্রকার বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা।
প্রতি বছর বর্ষায় যেখানে ইলিশ উৎসবের ধুম লাগে, সেখানে এবার মাছি তাড়াচ্ছে হোটেলগুলি। রাজ্য সরকার সুন্দরবনে পর্যটনের বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেয়নি বলেই জানিয়েছে এখানকার হোটেলগুলির একাংশ। সুন্দরবন হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সিনহা রায়ের কথায়, ঘূর্ণিঝড় যশ গোটা সুন্দরবন তছনছ করে দিয়েছে। তার উপর গোটা এলাকা একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে নিম্নচাপের বৃষ্টি।
সুন্দরবনের জল-জঙ্গলে না হলেও, অন্যত্র ইলিশ উৎসবের আয়োজনের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বেশ কয়েকটি সংস্থা। কিন্তু এখন তাদের অনেকেই আর সেই বিষয়ে এগতে চাইছে না। তবে বর্ষা যেহেতু আছে, তাই এখনও কেউ কেউ আশাবাদী। রাজ্যের অন্যতম ট্যুর অপারেটর সংগঠন ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলেন, যে সমারোহে প্রতি বছর হরেক সংস্থার তরফে ইলিশ উৎসব হয়, তা হয়তো এবার হবে না। কিন্তু একেবারেই যে হবে না, তা নয়।
ফেডারেশন অব বেঙ্গল হোটেলিয়ার্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সমর ঘোষ বলেন, ‘প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও করোনার কারণে দীঘা, মন্দারমণি বা শঙ্করপুরের হোটেলগুলিতে পর্যটক কমে গিয়েছিল। কিন্তু সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। এখন পর্যটকরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে করোনা টেস্টের রিপোর্ট আনছেন। যাঁরা আনছেন না, তাঁরা হোটেলে এসে টেস্ট করাচ্ছেন। অধিকাংশ হোটেলই সেই ব্যবস্থা করছে।’ কিন্তু প্রতি বছর ইলিশ পার্বণ যেভাবে হয়, এবার সেই উৎসাহ অনেকটাই কম।