বাংলাদেশ

অতীতের রেকর্ড ছাপিয়ে উৎপাদন ইলিশের

এপারে টান চললেও ওপারে দেদার মিলছে। তাই রাজধানী ঢাকা জুড়ে যেন ইলিশেরই বাজার। রাস্তার পাশে প্রতিটি ঝুড়ি ইলিশে ভর্তি। ঝুড়িতে সাইজ অনুযায়ী সাজানো রুপোলি ইলিশ। ফলে সকাল–বিকেল বেচাকেনার ধুম পড়েছে এখানে।
আবার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত বেচাকেনা চলছে। দু’কেজি ওজনের ইলিশ সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা কেজি। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি ৭০০–৮০০। সন্ধ্যায় প্রায় সকলেই এক/দুই কেজি ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
জানা গিয়েছে, ইলিশের আমদানি এখন প্রচুর। সঙ্গে মিলছে বড় সাইজের ইলিশ। রাত পোহালেই রাজধানীর আড়তগুলিতে যেন ইলিশের হাট। ভোর থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি চলে। সেখান থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে এনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার এবং রাস্তার দোকানগুলিতে বিক্রি করে থাকেন।
বাংলাদেশে এবার ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ মেট্রিক টন। পৃথিবীতে ৮৫ শতাংশ ইলিশ বাংলাদেশে উৎপাদন হয়ে থাকে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন করে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে লাখো মানুষের। আর এই সফলতা এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
সরকারি এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এই কৃতিত্ব যদি দিতে তা হলে বলব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কারণ, তিনিই প্রথম ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে যেখানে যা করণীয় সব কিছুর উদ্যোগ নিলেন। আগামীদিনে বড় ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে।