হতাশা বাড়ছে মৎস্যজীবীদের। কারণ ইলিশ ধরতে টানা তিনবার গভীর সমুদ্রে গিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। আগামী দিনে আদৌ ট্রলার নামানো হবে কি না, তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার ট্রলার মালিকরা বৈঠক করবেন বলে ঠিক করেছেন। এভাবে জালে মাছ না ওঠার কারণ ঠিক কী, তা বুঝতে পারছেন না ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা।
গত ১৫ জুন মাছ ধরার মরশুম শুরু হতেই ইলিশ ধরতে বেরিয়ে পড়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে দু–একদিনের মধ্যেই তাঁদের ফিরে আসতে হয়। প্রথমবার খালি হাতেই ফিরেছিল ট্রলারগুলি। দ্বিতীয়বারও বঙ্গোপসাগরে ট্রলার নিয়ে জাল ফেলেছিলেন মৎস্যজীবীরা। কিন্তু তখনও খুব বেশি ইলিশ ধরা যায়নি। যেটুকু মাছ নিয়ে ফিরেছিলেন তাঁরা, তা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা যায়নি। এরপরও ট্রলার মালিকরা আশা করেছিলেন, মরা কোটালে মাছের ঝাঁক এপার বাংলার দিকে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে ফিরে পর্যাপ্ত ইলিশ মেলেনি।
এখন জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই মাছ না মেলায় সমুদ্রে ট্রলার নিয়ে ঘুরতে চাইছেন না অধিকাংশ মৎস্যজীবী। কয়েকদিন আগেই প্রায় সমস্ত ট্রলার ফিরে এসেছে। কাকদ্বীপ কিংবা নামখানা বন্দরে এখন সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রলার। অন্যান্য সময় মাছ নামানোর ব্যস্ততা থাকলেও এবার সেটা কার্যত উধাও। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজয় মাইতি বক্তব্য, ‘এবারে পরিস্থিতি ভয়াবহ। কোথাও ইলিশের দেখা নেই। কেন এমন হচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।’
কেন এমন পরিস্থিতি? সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য আবহাওয়া অনুকূল হলেও, ইলিশ ধরার আর যেসব পরিবেশ দরকার, সেটা নেই বলেই জানান মৎস্যজীবীরা। পুবালি হাওয়া নেই। জলের স্রোতও বাংলাদেশের দিকে বইছে। সব মিলিয়ে এবার ভোজন রসিক বাঙালির পাতে ইলিশের দেখা কতটা মিলবে, সেটা এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।