মরশুমের প্রথম ইলিশে ভর্তি হল বাজার। পরিমাণে বেশি না হলেও রূপোলি শস্যের দেখা মিলল দিঘার সমুদ্রে। আশায় বুক বাঁধছেন দিঘার মৎস্যজীবীরা। মাছ সাজিয়ে বসে বিক্রেতারা। কিন্তু দেখা মিলছে না ক্রেতার। পরিমাণে কম হলেও আকারে বেশ বড় সেগুলি। আপাতত ছোট ইলিশ এসেছে। দাম ৬০০–১০০০ টাকা। কিছুদিনের মধ্যে আরও ইলিশ আসবে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। সমুদ্র থেকে কয়েকটি ট্রলার অন্যান্য মাছের সঙ্গে সামান্য কিছু ইলিশ নিয়ে ফিরেছে।
লকডাউন ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর ১ জুলাই থেকে সমুদ্রে মাছ শিকারের জন্য দিঘা উপকূল থেকে প্রায় হাজার খানেক ট্রলার ও নৌকা সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিল। এদের ফিরে আসতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। এই ট্রলারগুলি ফিরলে ইলিশের জোগান বাড়বে বলে মনে করছেন সকলে। যদিও ক্রেতার দেখা কতটা মিলবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের কথায়, গত বছরের তুলনায় চাহিদা প্রায় নেই বললেই চলে।
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম দীর্ঘদিন মাছ শিকার বন্ধ থাকার কারণে ভাল পরিমাণে ইলিশ উঠবে। কিন্তু পমফ্রেট সহ অন্যান্য মাছ প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়লেও ইলিশ ধরা পড়ছে না। যেখানে এই মরসুমে দিনে ১০–১২ টন ইলিশ ওঠে, সেখানে এক–দেড় টন খুব সামান্য। কিছু দিনের মধ্যে ইলিশের জোগান বাড়বে বলে আশা আমাদের।’
এদিকে কেউই বিশেষ খোঁজ নিচ্ছেন না ইলিশের। ফলে বড় ইলিশ আনলেও আদতে ক’জন কিনবেন প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের। লকডাউনে গঙ্গার জলের মান উন্নত হয়েছে। তাই মিঠে জল খেতে আসা ইলিশের স্বাদ এবার ভাল হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তার উপর তিন মাস বন্ধ ছিল মাছ ধরা। ফলে খোকা ইলিশ এবার ধরা পড়েনি। ইলিশের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সময় মিলেছে। কিন্তু মরশুমের শুরুতেই বিক্রির হাল দেখে হতাশ বিক্রেতারা। ইলিশ সমেত অন্যান্য মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসায় মরসুমের প্রথম ইলিশের দেখা মেলে মোহনার মাছের বাজারে।