দেশ লিড নিউজ

দিল্লিতে গ্রেপ্তার চার কাশ্মীরি জঙ্গি

কিছুদিন আগে ৯ জঙ্গি ধরা পড়েছিল বাংলা ও কেরল থেকে। তাদের মধ্যে ৬ জন বাংলার এবং ৩ জন কেরলের। এদের প্রত্যেকরই টার্গেট ছিল নাশকতা করা হবে দিল্লিতে। রবিবারও দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের অভিযানে ধরা পড়ল চার কট্টর কাশ্মীরি জঙ্গি। এদেরও টার্গেট ছিল হামলা হবে দিল্লিতেই। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজধানীতে বড় হামলার ছক করেই তারা দিল্লিতে এসে গা ঢাকা দেয়। আর ভেতরে ভেতরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে হামলার ছক কষছিল। গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের কাছে সে খবর চলে আসে। আর এই চার কাশ্মীরি যুবার গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, এই যুবা জঙ্গিদের কাছ থেকে চারটি অত্যাধুনিক পিস্তল ছাড়াও ১২০ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই চার কট্টর জঙ্গির একজন ইশফাক মজিদ কোকা। কাশ্মীরে নিহত জঙ্গি বুরহান কোকার বড় দাদা। বুরহান কোকা ছিল আনসার গজওয়াত–উল–হিন্দের প্রাক্তন প্রধান। জম্মু–কাশ্মীরে আল–কায়দার একটি শাখা হল গজওয়াত–উল–হিন্দ। বাকি তিনজনের নাম আলতাফ আহমেদ ডর, মুস্তাক আহমেদ গনি এবং আকিব সফি।
আনসার গজওয়াত–উল–হিন্দের প্রধান বুরহান কোকা। বুরহানের মৃত্যুর পর তার বড় দাদা ইশফাক মজিদ কোকাও আনসার গজওয়াত–উল–হিন্দে নাম লেখায়। শুরু হয় জঙ্গি কার্যকলাপ। ২ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের কাছে একটি ফোন আসে। জানা যায় চার কাশ্মীরি যুবক গত কয়েকদিন ধরে সেখানে রয়েছে। তার পরেই অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। নজরদারি চালিয়ে চারজনকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাদের দফায় দফায় জেরা চলছে। জেরা করে জানা গিয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে তারা নয়াদিল্লি রেল স্টেশন লাগোয়া ঘিঞ্জি পাহাড়গঞ্জ এলাকায় ছিল।
স্পেশ্যাল সেলের ডিসিপি পিএস কুশওয়া জানান, বিশেষ অভিযান চালিয়ে দিল্লির রিং রোড এলাকা থেকে এই চারজনকে তাঁরা গ্রেপ্তার করেছেন। আইটিও’‌র কাছে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। রিং রোডে ওই চারজনকে একটি গাড়িতে দেখতে পেয়ে পুলিশ পিছু নেয়। পুলিশের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তখন জঙ্গিরা আর পালাতে পারেনি।
আকিব শফি কোকাকে নিজের তুতো ভাই বলে সে পরিচয় দেয়। জম্মুতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বিই করছে আকিব। আলতাফ আহমেদ ডর ইশফাকের গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করে। চতুর্থজনের নাম মুস্তাক আহমেদ গনি। শ্রীনগরের লোকাল ট্যাক্সিচালক। নাশকতার জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনতে তাদের হ্যান্ডেলার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছিল। সেটা করতেই এখানে আসা। তবে আরও তথ্য পেতে তাদের জেরা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে খবর।