সেদিন জো বিডেনের ঘোষিত জয়ের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে সমর্থকদের উস্কানি দিয়ে কোনও ভুলই করেননি তিনি। বরং একদম ঠিক কাজ করেছেন। হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! এই মন্তব্যের পরই নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অশান্তি পাকাতে পারেন ট্রাম্প সমর্থকেরা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্যাপিটল হিলে অশান্তি এড়াতে ওয়াশিংটন ডিসি–সহ একাধিক শহরে সতর্কতা জারি করেছে এফবিআই।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষের আট দিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে যে দ্বিতীয় ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটাকে হাস্যকর বলতেও কসুর করলেন না ট্রাম্প। একইসঙ্গে সাবধানবাণী শোনালেন, ইমপিচমেন্টের খবরে তাঁর সমর্থকরা রাগে ফুঁসছে। ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ জো বিডেনের শপথগ্রহণের দিন ফের সেরকমই হিংসা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য রিপাবলিকান কোনর ল্যাম্ব বলেন, ‘জো বিডেনের শপথগ্রহণের দিন ৪ হাজার সশস্ত্র ট্রাম্প সমর্থক ওয়াশিংটন ডিসি ঘিরে ফেলার ছক কষছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য, ডেমোক্র্যাটদের আনাগোনা আটকে দেওয়া।’ তিনি আরও জানান, এবার এদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার। তবে একটাই দুঃখ বিদায়ী প্রেসিডেন্টও এদের সঙ্গে যুক্ত। তাই ট্রাম্পের ‘ইমপিচমেন্ট’ দাবি করেছেন পেনসিলভ্যানিয়ার এই ডেমোক্র্যাট।
এফবিআইয়ের কাছে খবর, ২০ জানুয়ারির শপথগ্রহণের আগে বিডেনের ক্ষতি করার চেষ্টা হতে পারে। চিন্তা নব–নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং স্পিকার পেলোসির নিরাপত্তা নিয়েও। তার মধ্যে ট্রাম্প ইমপিচড হলে তাঁর সমর্থকরা কী করতে পারে, তা আঁচ করে ১৬ জানুয়ারি থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে প্রায় গোটা দেশ।
ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের বিরোধিতা করেছেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে আর মাত্র সাতদিন বাকি। তার মধ্যে তাঁকে ইমপিচ করা অর্থহীন। এই বিষয়ে তিনি ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠিও দিয়েছেন।