জেলা

জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের টিকি ধরতে বৈঠক

ছত্রধর মাহাত সক্রিয় রাজনীতি শুরু করতেই জঙ্গলমহলে নতুন করে মাওবাদী আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে জরুরী বৈঠকে বসল রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। শনিবার ঝাড়গ্রামে পুলিশ কর্তাদের নিয়ে উচ্চ–পর্যায়ের বৈঠক করছেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, আইজি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার, ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস), বাঁকুড়ার এসপি এবং বেলপাহাড়ির ডিএসপি।
সূত্রের খবর, প্রায়ই এখন দেখা যাচ্ছে জঙ্গলমহল জুড়ে মাওবাদী পোস্টার পড়ছে। আর তাতে এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে। তাই শনিবার ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর বেলা ২টোয় শেষ হয় বৈঠক। সেখানে পোস্টারে হুমকি, পর্যটকদের ফোন ছিনিয়ে নেওয়া এবং বিগত কয়েকদিন ধরেই জেলায় মাওবাদী আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে গত ২০ দিনের মধ্যে পরপর ৪টি ঘটনা মাওবাদী কার্যকলাপ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা উসকে দেয়। এরপরই আজ জরুরি ভিত্তিতে পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিসের ডিজিপি। ছত্রধর মাহাত ফিরে এসে মাওবাদী শিবিরে ফের যোগ দেবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যায়, তা না করে ছত্রধর সরাসরি তৃণমূলের হাতে তামাক খেয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেছে। তাতেই তেতে উঠেছে জঙ্গলমহলের মাওবাদীরা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে বেলপাহাড়িতে ফের মাওবাদীদের পোস্টার পড়ে। রাস্তার কাজ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। বেলপাহাড়ি বাজার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে এই পোস্টারগুলি লাগানো ছিল। রাস্তার ধারে পোস্টে, রাস্তা তৈরির গাড়িতে, স্থানীয় দোকানে সর্বত্র লাগানো ছিল পোস্টারগুলি। পরে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে।
পর্যটকদের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। মোবাইল নেওয়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথাও বলে মাওবাদীদের দল। কিছুদিন আগেই পচাপানিতে মাওবাদীদের নামে হুমকি চিঠি পাওয়া এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনায় চাপা উত্তেজনা ও আতঙ্ক তৈরি হয়।