অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে গরমের ছুটি এগিয়ে আনে সরকার। আর এই গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্তে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার, সেই মামলায় এবার রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ মে। পরবর্তী শুনানির মধ্যেই রাজ্য সরকারকে এই ছুটির বিষয়ে যে মূল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যাও দিতে হবে।
মামলকারীর বক্তব্য, করোনার কারণে এমনিতেই দুবছর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তবে সেগুলি খোলার পর আবারও ৪৫দিন হঠাত্ করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হল কেন। যার প্রভাব পড়বে পড়াশুনার ওপর। এদিন সেই শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেন ছুটি দেওয়া হল? সেই বিষয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার আবহাওয়াবিদ বা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করেই পরপর দুটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির কথা জানিয়েছে।
রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, ছাত্র ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে পড়ুয়ারা। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধে-অসুবিধে দেখার দায়িত্বে রাজ্যের।
উল্লেখ্য, ২ মে থেকে রাজ্যের রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নোটিস জারি করে টানা ৪৫ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। তার পর এই ছুটির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আনন্দ বরণ হালদার নামে এক অভিভাবক।