লিড নিউজ

সিবিআইকে দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে সজোরে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। বাকি হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশের তিন সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। দুই দলকেই আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া কথা ভাবছে রাজ্য।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‌হাইকোর্টের রায়ে আমি অখুশি। কারণ আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার। সেখানে হাইকোর্ট সিবিআই–কে তদন্ত করতে বললে আমার মনে হয় তা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপের সামিল। রাজ্য সরকার না মানলে আপিলে করতে পারে ডিভিশন বেঞ্চে বা সুপ্রিম কোর্টে। আমি নিশ্চিত যে সব কিছু বিচার করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’‌

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালত ভোট পরবর্তী হিংসার রায় ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারের স্ট্যাডিং কাউন্সিল টিমের একটি বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে, আজ রাতে বা শুক্রবার সকালে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হতে পারে। আদালতের রায়ের পর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। একটি টুইটে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আইনি বিকল্প সন্ধানের কথা তিনি উল্লেখ করেছেন।

কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দল নিশ্চিতভাবে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করবে। সরকারও করবে। আদালতের ব্যাপারে এর চেয়ে বেশি বলব না। ভোটের আগে কারা বলেছিলেন, অনাথ করে দেব, হাত–পা ভেঙে দেব, মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে! কারা উস্কানি দিয়েছিল! আইনশৃঙ্খলা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে ছিল। তার পরে সুপরিকল্পিত চিত্রনাট্য করে রিপোর্ট ফাইল করেছে মানবাধিকার কমিশন।’‌