কালিয়াগঞ্জের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের তদন্তে গঠিত সিট থেকে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিটের বাকি দুই সদস্য উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে শুক্রবার দময়ন্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস পঙ্কজ দত্ত আদালতে হাজির হয়ে বলেন, সিট কোনও কাজ করতে পারেনি। তার দু’টি কারণ তাঁরা উল্লেখ করেন। এক, দময়ন্তী সেন কোনও সহযোগিতা করেননি। দুই, রাজ্য পুলিশও চূড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। তাঁরা এও বলেন, কালিয়াগঞ্জ যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের যে বন্দোবস্ত করে দেওয়ার কথা, সেই অর্থও দেওয়া হয়নি। সব শুনে বিচারপতি মান্থা স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করে বলেছেন, দময়ন্তীর জায়গায় কাকে সিটের মাথায় বসানো যায় তা যেন স্বরাষ্ট্রসচিব সুপারিশ করেন।
উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। পুলিশ যেভাবে কিশোরীর দেহ হেঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। সেই ঘটনায় তেতে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ। অশান্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর জাতীয় সড়ক। জনতার রোষের মুখে পড়েন পুলিশকর্মীরা। বেপরোয়া ইটবৃষ্টি শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। তুঙ্গে ওঠে কেন্দ্র-রাজ্য তরজাও। সেই ঘটনার তদন্তেই সিট গঠন করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। দু’দিন আগেই দময়ন্তীকে বদলি করেছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার-২ থেকে দময়ন্তীকে পুলিশ ট্রেনিংয়ের আইজি করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। এখন দেখার কী রিপোর্ট দেন স্বরাষ্ট্রসচিব। কী নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা।