নয়া বিপদের মুখে দিল্লি। রাজধানীতে ভয়াবহ হামলা চালানোর ছক কষেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গোপন সূত্রে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চার জঙ্গি দিল্লিতে ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। হরিয়ানা–উত্তরপ্রদেশ সীমানা এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাস ডিপো এবং রেল স্টেশন থেকে শুরু করে রাস্তায় গাড়ি থামিয়েও করা হচ্ছে তল্লাশি।
চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে। কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে শহরের নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, দিল্লিতে হামলা চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচ জন জঙ্গির একটি দল ঢুকে পড়েছে। তারা ট্রাকে করে রাজধানীতে এসেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এমনকী জম্মু–কাশ্মীর থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী এর মধ্যে দিল্লিতে গোপন আস্তানায় ঘাঁটি গেড়েছে। শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালানোই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরই নজরদারি আরও আঁটোসাঁটো করে দিল্লি পুলিশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই শহরের সমস্ত গেস্ট হাউজ, হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কাশ্মীরের রেজিস্ট্রেশনের গাড়িতে বিশেষভাবে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাস স্ট্যান্ড এবং রেল স্টেশন–সহ প্রতিটি জনবহুল এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে চলছে পুলিশি টহল।
পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিল্লির প্রত্যেকটি হাসপাতাল চত্বর, মার্কেট প্লেস, জনবহুল এলাকা এবং স্টেশনে নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। করোনার কারণে হাসপাতালগুলিতে এমনিতেই রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই দিল্লির হাসপাতাল চত্বরগুলি এখন পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। বাসস্ট্যান্ড, স্টেশনে চলছে তল্লাশি। দিল্লির সব ভাড়াটের নথি যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন ভাড়াটে এলে তা পুলিসকে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসেও দিল্লিতে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে শহরজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।