রাজ্য

প্রবল ঝড়বৃষ্টি কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে

বর্ষা আসতে এখনও অন্তত ১০ দিন বাকি। কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রাক বর্ষার পরিস্থিতি এসে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সোমবার সাতসকালে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভিজল কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সকাল থেকেই কলকাতা–সহ দুই ২৪ পরগণা ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় চলছে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টিপাত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’–এর প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেই দক্ষিণবঙ্গে গরমের দাপট বাড়ছিল ক্রমশ। শুক্রবার থেকে পারদ বাড়তে শুরু করেছিল। আবার জলীয় বাষ্প মজুত থাকায় ক্রমশ বাড়ছিল অস্বস্তিও। তাপমাত্রা ৩৫–৩৬ ডিগ্রির বেশি না উঠলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিই বেশি ছিল দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বর্ষা ঢুকতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও সোমবার সারাদিন বৃষ্টিপাত চলতে পারে। একইসঙ্গে ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় জোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
‘ইয়াস’ দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্ত হিসেবে এখনও রয়ে গিয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে। ফলে জলীয় বাষ্পের জোগান এখনও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে। গত দু’দিনের প্রবল গরমের সুযোগ নিয়েই রবিবার রাতের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হতে শুরু করে। এই ব্যাপারটাকে ইন্ধন দেয় প্রাক বর্ষার পরিস্থিতি। তবে বাদ থাকবে না উত্তরবঙ্গও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদাতেও হতে পারে বৃষ্টি। সপ্তাহের আগামী কয়েকদিনই এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অফিসের।
উল্লেখ্য, ১ জুন ভারতে কেরলের পথে বর্ষা প্রবেশের দিন হিসাবে ধরা হয়। তবে জানা গিয়েছিল, কেরলে ৩১ মে অর্থাৎ আজই প্রবেশ করবে বর্ষা। ফলে কেরলের পথে এবার প্রাক বর্ষার আমেজ শুরু। এদিন সকাল ৮টাতেও কলকাতার আকাশ পুরোপুরি মেঘে ঢাকা। ফুরফুরে ঠান্ডা একটা হাওয়া দিচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছে। সোমবার সারাদিনই এইরকম মনোরমই থাকবে আবহাওয়া। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও দক্ষিণবঙ্গে আরও কয়েক দফায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।