জেলা

উপকূলবর্তী জেলায় বৃষ্টির ভ্রুকূটি

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপে আবার কি ভারী বৃষ্টি? সেই উদ্বেগের নিরসন ঘটিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর, উত্তর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে চলেছে। ওই ঘূর্ণাবর্তটি আগামী বুধবারের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে চলে আসবে। রবিবার-সোমবার দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঘূর্ণবার্তের জেরে দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে মঙ্গলবার থেকে।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে কলকাতা ও শহরতলির মানুষ এই দু’দিনের জন্য স্বস্তি পেলেও তাঁদের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে মঙ্গলবারের সকাল। কারণ ওই দিন থেকে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে দুর্যোগের ঘনঘটা শুরু হতে পারে। ২৮ সেপ্টেম্বর কলকাতা ছাড়াও দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

সোমবার দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের পরেও ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব থেকে যেতে পারে। এই ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে কি না, সেব্যাপারে এখনও স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।এদিকে, পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে যে ঘূর্ণাবর্তটি রয়েছে, তা শুক্রবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে দক্ষিণ ওড়িশা–উত্তর অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।

জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বর্তমানে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, তা পশ্চিমমুখী হয়ে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার দিকে গেলেও পরের ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে, এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ফলে দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশে তার প্রভাব বেশি পড়বে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের উপর থাকাকালীন ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ফলে দুর্যোগের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।