বাংলাদেশ

করোনা–সহ শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশ

করোনা আবহে শীতের দাপট শুরু হয়েছে পদ্মাপারে। আর মনে করিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের শীত মানেই উত্তর জনপদের শীত। হিমালয়ের হিমবায়ুর প্রবেশপথ উত্তরাঞ্চল। প্রতি বছর বাংলাদেশের উত্তর জনপদ সাধারণ শৈত্যপ্রবাহের মুখোমুখি হয়। তবে শীত ঋতুর মাঝামাঝি সময়ে যে শীতের ঝাঁকুনিটা বেশ জোরেই হবে, তার আভাস আগেই দিয়েছিল আগারগাঁও আবহাওয়া দপ্তর।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকেল থেকেই মাঝারি বাতাসের সঙ্গে উত্তরের ভেজা বাতাস যোগ দিয়েছে। সন্ধ্যার আগে থেকে রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরাঞ্চল–সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রত্যেকদিনই একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। দেশের উত্তর জনপদের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা আরও তিন থেকে চার দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কুয়াশার চাদরে এমন আবহাওয়া ব্যতিক্রম নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বাড়ছে। তবে রংপুর বিভাগ–সহ গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী এবং শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আর দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও সাতক্ষীরায় ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।