মেয়েকে হারাতে হয়েছে। ঘটেছে তার সঙ্গে নির্মম ঘটনা। তাই হাথরাস গ্রামে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন নির্যাতিতা দলিত তরুণীর পরিবার। আর এখানে থাকতে চান না তাঁরা। গ্রামের পাট চুকিয়ে দিল্লিতে গিয়ে আশ্রয় নিতে চায় পরিবারটি। রাজধানী শহরে থেকেই ন্যায়বিচার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যেতে চান ওই পরিবারের সদস্যরা। চোখের জল এখনও ফেলে তাঁরা।
গণধর্ষণের ঘটনা আর উচ্চবর্ণের লোকজনের শাসানি শুনতে হয়েছে পরিবারটিকে। এমনকী বিজেপি’র একাধিক নেতাও পরিবারটিকে দোষারোপ করেছিলেন। পুলিশকেও পাশে পাননি। বরং পুলিশের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। ভীত–সন্ত্রস্ত দলিত পরিবারটি হাথরাসের গ্রামে আর থাকার সাহস পাচ্ছে না। এখন তাঁরা এখান থেকে চলে যেতে চান। যে গ্রামে তাঁদের মেয়ের সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেনি সেখানে থেকে আর কি লাভ!
নির্যাতিতা তরুণীর দাদা জানান, তাঁরা সপরিবার দিল্লিতে গিয়ে সেখানে থেকেই ন্যায়বিচার আদায়ে লড়াই চালিয়ে যেতে চান। তাঁর কথায়, নিরাপত্তার কারণেই আমরা হাথরাসে থাকতে চাই না। হাথরাসের নির্যাতিতা পরিবারের আইনজীবী সীমা কুশওয়াও এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে জানান, ধর্ষণ–খুনের মামলাটি উত্তরপ্রদেশের বাইরে সরানোর অনুমতি দেওয়া হোক। নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পাচ্ছে পরিবারটি।
নির্মম অত্যাচারের জেরে ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান ওই দলিত তরুণী। অভিযোগ ওঠে, ওই রাতেই পরিবারের সম্মতি ছাড়া পুলিশ জোর করে মৃত তরুণীর দেহ সত্কার করে। পরিবারের লোকজনকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি। শেষবারের মতো তাঁরা মেয়েকে দেখতেও পাননি। সত্কার করার সময় পরিবারটিকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল।
যদিও পরিবারটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসডিএম অঞ্জলি গাঙ্গওয়ার হাথরাসের ওই পরিবারটির বাড়িতে গিয়েছিলেন। নিরাপত্তা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের তিনি আশ্বস্ত করে আসেন। সেইসঙ্গে সাপ্তাহিক রেশন ও পশুখাদ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও তিনি দিয়ে আসেন।