টানা দু’দিন পুলিশের হাতে নিজের বাড়িতে বন্দি থাকার পর হাথরাসকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মৃত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। সংবাদমাধ্যমকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তাঁরা। সুতরাং পরিবারের সদস্যদের শনিবারের বক্তব্যে বেশ ব্যাকফুটে চলে গেল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। তার উপর এদিন নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে পেরেছিলেন রাহুল–প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ফলে সবমিলিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, যারা আমাদের মেয়েকে মেরেছে, তাদের কড়া শাস্তি চাই। এদিন নির্যাতিতার ভাই বলেন, ‘আমরা জানতে চেয়েছিলাম কার দেহ সেদিন পোড়ানো হয়েছিল? যদি আমার বোন হয়, তাহলে কেন তাকে এভাবে পোড়ানো হল? আমরা সবাই পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম যাতে শেষবার বোনকে দেখতে পাই।’ কিন্তু তা শোনেনি কেউ।
সংবাদসংস্থা এএনআই–কে তিনি জানান, আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টও দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিপোর্ট দেখাতে রাজি হয়নি পুলিশ। বরং বলেছে, রিপোর্ট ইংরাজিতে লেখা। তাই বুঝতে পারবেন না। এদিন তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপরও ক্ষোভ উগড়ে দেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তাদের বক্তব্য, সিট তদন্ত করলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে না। গ্রামের অন্য লোকেদের সঙ্গে কথা বলছে। বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী শৌচালয়ের বাইরেও পাহারা দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনের যে সব আধিকারিকরা আসছেন বাড়িতে, তারা তাদের কাছ থেকে ফোন দেখতে চাইছেন। ফোনই তাদের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে যে তারা নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন। ইতিমধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের কথায়, তাদের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছিল যাতে মামলা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু আমরা সুবিচার চাই। সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা, বাড়ি এবং সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
