বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের জোরালো দাবি উঠল। আর তাতে অনেকটা ব্যাকফুটে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কারণ হাথরাসে দলিত তরুণীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন আইনজীবীরা। যা নজিরবিহীন বলে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের প্রায় ১০০ আইনজীবী যোগী সরকারের উত্খাত দাবি করেছেন। এই নির্মম বর্বরতা উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের একটা পর্যায়। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে উত্তরপ্রদেশে দ্রুত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে দাবি তুলেছেন আইনজীবীরা।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে লেখা স্মারকলিপিতে উত্তরপ্রদেশে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়ে আইনজীবীরা সেটি জমা দেন জেলাশাসকের কাছে। আইনজীবীরা মিছিল থেকে সরকার বিরোধী স্লোগান তোলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কুশপুতুলও পোড়ান বিক্ষোভরত আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রুখতে যোগী সরকার চরম ব্যর্থ।
পুলিশের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয়ে আইনজীবীদের অভিযোগ, ঘটনা আড়াল করতে পুলিশ প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছে। তাই রাতের অন্ধকারে এভাবে তড়িঘড়ি নির্যাতিতা দলিত তরুণীর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের এই সমিতি বৃহস্পতিবার হাথরসের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরাসের দলিত তরুণীকে চারজন মিলে ধর্ষণ করে। নৃশংস অত্যাচার করা হয় তাঁর উপর। ধর্ষণের সময় শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা হয়েছিল। জিভও কেটে নিয়েছিল অভিযুক্তরা। সারা শরীরে আঘাত নিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মারা যান নির্যাতিতা। ওই রাতেই যোগীর পুলিশ মেয়েটির পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তড়িঘড়ি দেহ সত্কার করে দেয়।
