২১ জুলাইয়ের আগের রাতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিচালনার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য হাবড়ার হাটথুবার ঘোষপাড়া এলাকায়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন ওই নেতা। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। গুলি চলার পর থেকে শাসক–বিরোধী তরজা অব্যাহত। এই ঘটনায় থমথমে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া।
মঙ্গলবার রাতে হাবড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার নেতা রাজীব সরকার। দলীয় কর্মীরা জানান, বৈঠকের মাঝে একটি ফোন আসায় তিনি বৈঠক সেরে কথা বলতে বলতে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তখনই রাস্তার উল্টোদিক থেকে কেউ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ঠিক সেই সময় তাঁর দিকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক ধেয়ে আসে। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় সে। কোনওক্রমে লাফ দিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। তার ফলে প্রাণ বাঁচে ওই তৃণমূল নেতার।
তৃণমূল নেতা রাজীব সরকার বলেন, ‘৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০ মানুষ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করবেন। বেশ কয়েকজন মহিলাও যোগদান করবেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আমাদের দলের মহিলা নেত্রী লক্ষ্মী বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়েছিলাম। একটা ফোন আসে। টাওয়ার না পাওয়ায় বাইরে বেড়িয়ে এসেছিলাম। দেখি মাঠে থেকে একটা ছেলে উঠে এগিয়ে আসছে। আমাকে লক্ষ্য করে যখন বন্দুকটা তোলে, তখনই লাফ দিয়ে ঘরে ঢুকে। তখনই গুলিটা চালায়।’
একুশের জুলাইয়ের ঠিক আগের রাতের এই ঘটনার পর থেকেই শুরু রাজনৈতিক আকচাআকচি। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও সে অভিযোগ মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাদের পালটা দাবি, গুলি চলার ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার জেরে এই কাণ্ড ঘটেছে। কিন্তু আগের রাতেই প্রভাবশালী নেতার ওপর গুলিচালনার ঘটনায় আতঙ্কিত কর্মীরা।