Habra bazar under red zone but public violet the rule.
জেলা রাজ্য

দ্বিমুখী নীতিতে হাবড়ায় অচলাবস্থা

রেড জোনে রয়েছে রাজ্যের চারটে জেলা। এই জেলাগুলির মধ্যে হটস্পট বা অতি স্পর্শকাতর এলাকাও রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার অতিস্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে ফেলা হয়েছে হাবড়াকেও। হাবড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাবড়া সমিতি রোডকে সন্দেহের বশে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ এখানে বেশ কিছুদিন আগে স্কটল্যান্ড থেকে এক ছাত্রী এসেছিলেন। যার শরীরে মিলেছিল করোনা সংক্রমণ। তবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে এখন মানুষের সেবা করছেন। তারপর এখানে আর একটিও করোনা পজিটিভ রোগী মেলেনি। তাহলে কিসের ওপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?‌ উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে লকডাউনের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত হাবড়া বাজারের চিত্রটা ছিল প্রায় আগের আবস্থার মত দিনের বেলা স্বাভাবিক ভিড়। পুলিশ প্রশাসন ঘুরে বেড়ালেও হাবড়া বাজারে কিছু বলেনি। অর্থাৎ হাত দেয়নি। শুধু মাইকে প্রচার ছিল। ফলে কোন ভাবেই সামলানো যাচ্ছিল না সাধারণ মানুষকে। এই পরিস্থিতিতে হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভ্র নন্দীর উদ্যোগে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে এবং পরে হাবড়া মিউনিসিপ্যালিটি এলাকার বাড়িতে বাড়িতে একটি কার্ড দেওয়া শুরু করে। যে কার্ডে প্রত্যেক পরিবারের একজন মানুষের ছবি ও নাম থাকবে। আর তিনিই শুধু সপ্তাহে দু’‌দিন (‌কার্ডে উল্লিখিত)‌ বাজার–দোকান–ব্যাঙ্কে যেতে পারবেন।
এই পর্যন্তও সব ঠিকই ছিল। মঙ্গলবার থেকে দেখা গেল, হঠাৎ হাবড়ার মূল দুটি বাজার(মাছ ও তরকারি বাজারসহ) সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত এলাকায় এই সমস্যা নেই। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পৌরসভা থেকে এই কার্ড বিলির পর কেন বন্ধ করে দেওয়া হল বাজার?‌ তাহলে এই কার্ড দেওয়ার যৌক্তিকতা কী?‌ তবে কি রেড জোনে প্রচুর করোনা রোগী ধরা পড়েছে?‌ যা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। নাকি কেন্দ্রীয় দল যখন তখন চলে আসতে পারে বলে এই উদ্যোগ?‌