হাবড়া হাসপাতালের সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বেশ কিছু নিয়মবিধি চালু করেছেন। তাঁর এই ব্যবস্থাপনায় অনেকটা স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে সব স্তরের স্বাস্থ্যকর্মী।
করোনা পর্বে বিদেশ–ফেরত হাবড়া এলাকার এক ছাত্রীর শরীরে ভাইরাস মেলায় প্রাথমিকভাবে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। প্রোটোকল মেনে ওই ছাত্রীর বাবা, তাঁদের গাড়ির চালক এবং তাঁর এক বন্ধুকে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতার আইডি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন সুপার শঙ্করলাল ঘোষ।
মানুষকে বোঝাতে, ভরসা জোগাতে বিশেষ হেল্পলাইন চালু করার ব্যবস্থা করেন তিনি। লকডাউন ঘোষণা হতেই হাসপাতালে ভিজিটরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরিবর্তে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ব্যাপারে বাড়ির লোকদের খোঁজখবর নেওয়ার সুবিধার্থে রোগীর কাছে নিজস্ব মোবাইলের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে হাসপাতালের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোন রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে সরাসরি রোগীর ফোনে ফোন করে খবর নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স–সহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর হাসপাতাল চত্বরে ঢোকার সময় একটি বিশেষ পোশাক পরার ব্যবস্থা করেন সুপার।
লকডাউন শুরুর সময় সুপার শঙ্করলাল ঘোষের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্তে এক ব্যক্তি জানান, তিনি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। আর বাইরে থাকার কারণেই তাঁকে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে যান সুপার। এলাকার মানুষকে বুঝিয়ে ওই ব্যক্তিকে বাড়িতে ঢুকিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেন তিনি।
