সোমবার ন্যাশভিলের একটি প্রাথমিক স্কুলে বন্দুকবাজের হানায় মৃত্যু হয় তিন শিশু-সহ ৬ জনের। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে, স্কুলের মানচিত্র এঁকে হামলা চালিয়েছিল ওই বন্দুকবাজ।
সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ গুলি চলতে শুরু করে ন্যাশভিলের কভেন্যান্ট স্কুলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ছোট দরজা দিয়ে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করে আততায়ী। একের পর এক ক্লাসরুমে গুলি চালাতে থাকে। বেশ কয়েকটি ঘরে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা আলমারির মধ্যে ঢুকে লুকিয়ে থাকেন। বেশ খানিকক্ষণ গুলি চলার পর বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায় বন্দুকবাজ। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ৮ বছর বয়সি তিন পড়ুয়ার। স্কুলের প্রধান-সহ আরও দুই শিক্ষকও মারা যান।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দুকবাজের নাম অড্রে হেল। রূপান্তরকামী অড্রে এই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই এই স্কুলে হামলার ছক কষেছিল সে। হামলার পর স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় অড্রে। তবে বেশ কিছু কাগজপত্র ফেলে রাখে, সেখান থেকেই আরও বেশ কিছু জায়গায় হামলার পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছে।
সম্প্রতি, আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে। স্কুল থেকে শুরু করে ধর্মস্থান,বাদ পড়ছে না কিছু। বন্দুক সংক্রান্ত আইন পাশ হলেও থামছে না হামলার ঘটনা। সোমবারের ঘটনার পর অস্ত্র রাখার উপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “এটা মেনে নেওয়া যায় না। গোটা বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখছি। এই ঘটনায় আমেরিকার হৃদয় একেবারে ভেঙে গিয়েছে।’