প্রবল বর্ষণের কারণে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক অঞ্চল জলমগ্ন। দিল্লির পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গুজরাটে এখনও বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। চলতি সপ্তাহেই প্রবল বর্ষণের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে জাতীয় সড়কে ধস নেমেছিল। যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় অমরনাথ যাত্রা। এবার প্রবল বর্ষণের কারণে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। বিগত ২৪ ঘন্টায় ধস এবং জলমগ্ন হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। ঋষিকেশের ধলওয়ারা ও খারা এলাকার জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি গৌরিকুন্ডে নেমেছে প্রবল ধস। বুধবার থেকেই গৌরিকুন্ডে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। কেদারনাথ যাত্রার বেস্ট ক্যাম্প কার্যত বিধ্বস্ত। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১২ নিহত ১০। প্রশাসনকে চরমভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পুস্কার সিং ধামি। শুধু উত্তরাখন্ড নয় আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হবে উত্তরাখণ্ড,হিমাচল প্রদেশ, মেঘালয়ে। ইতিমধ্যেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বর্ষার তাণ্ডবলীলায় প্রায় একমাস ধরে বিপর্যস্ত হিমাচলপ্রদেশ সহ সমগ্র উত্তর ভারত। একটানা ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে পথঘাট, ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিধসে ছিন্নভিন্ন পাহাড়ি এলাকা। রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন বহু জেলা। নেই বিদ্যুৎ, জল, ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। সরকারি তথ্য বলছে, অন্তত ১৩০ জন মারা গেছেন এই রাজ্যে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে প্রচুর পর্যটক আটকে পড়েছেন। স্পিতি উপত্যকার চন্দ্রতালের কাছে এখনও পর্যন্ত আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হেলিকপ্টারে করে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করছেন সরকারি আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে দুর্যোগ চলছে উত্তরাখণ্ডেও। একাধিক ভূমিধসের কারণে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক-সহ বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ। ফলে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে।