আন্তর্জাতিক

নির্দেশিকা জারি করল মার্কিন বাহিনী

তালিবানের দখলে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। উদ্ধারের একমাত্র পথ হল কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। কিন্তু সেদিকেও কুনজর পড়েছে তালিবান, আইসিসের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির। তালিবানের হাত থেকে মুক্তি পেতে ভিড় জমাচ্ছে সবাই বিমানবন্দরে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার নির্দেশিকা জারি করল মার্কিন বাহিনী।

কাবুলের দূতাবাসের কর্মী থেকে শুরু করে সেখানে বসবাসকারী নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানির মতো বিভিন্ন দেশ। সাধারণ মানুষও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বিমানবন্দরে হাজির হচ্ছেন। গত সপ্তাহেই তালিবান মুজাহিদ্দিনরা বিমানবন্দরে ঢুকে পরে এবং তা দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। পাল্টা জবাবে মার্কিন সেনাও গুলি চালায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৮ থেকে ১০ জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়।

রবিবার বিমানবন্দরের বাইরে প্রচণ্ড ভিড়ে চাপা পড়ে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বাহিনী। আগামীদিনে তালিবানের পাশাপাশি আইসিসের মতো জঙ্গি সংগঠনও বিমানবন্দরে হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠভাবে উদ্ধারকার্য পরিচালনের জন্য কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

কী আছে নির্দেশিকায়?‌ সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা, অনাবাসী ভিসা আবেদনকারী বা মার্কিন সরকারের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ব্যক্তি, যাদের বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কেবল তারাই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেতে পারবেন।

আগামী ধাপে আবেদনকারীদের বিমানবন্দরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে, এখন পরিস্থিতি বিচার করে এই প্রক্রিয়া শেষ হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। উপরোক্ত গোষ্ঠাভুক্ত নন, কিন্তু আফগানিস্তান ছাড়তে চান এবং বেসরকারি উদ্যোগে উদ্ধারকার্যের অংশ, তবে বিমানের ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরে আসতে পারবেন না।

যদি কারও কাছে বৈধ তথ্য না থাকে, বা কোনও দেশে যাওয়ার আমন্ত্রণ না থাকে, তবে তাদের বিমানবন্দরের ভিতরে এবং উদ্ধারকারী বিমানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতোই আমেরিকা আপাতত নিজেদের দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করাই মনোযোগী। বিনা কাগজপত্র বা অন্য কোনও দেশের তরফে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছাড়া সাধারণ আফগান নাগরিকদের বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।