দেশ ব্রেকিং নিউজ

‘‌তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র ফিরেছে কাশ্মীরে’

জম্মু–কাশ্মীরে তৃণমূলস্তরে ফিরেছে গণতন্ত্র। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে উপত্যকায়। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪৫তম সভায় এই কথা বললেন ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ইন্দ্র মণি পাণ্ডে। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এখন কেন বন্দি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি?‌ এখনও কেন জঙ্গি হামলা হচ্ছে?‌ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চলছে?‌ শুধু তাই নয়, কাশ্মীর যুবক–যুবতীরা কাজ না পেয়ে জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাচ্ছে কেন?‌
জম্মু–কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান মিশেল ব্যশেলের বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ইন্দ্র মণি পাণ্ডে জানান, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে সবসময়ই অঙ্গীকারবদ্ধ ভারত। কোনও সম্প্রদায়কে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ছাড়াও ভারত মানবাধিকার রক্ষা করে থাকে। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সীমান্ত রক্ষা ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কারও হস্তক্ষেপ বরদাস্ত না করা ভারতের অন্যতম প্রধান গুরুত্বের বিষয়।
২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে ভারত। এদিন পাণ্ডে বলেন, ‘‌ওই পরিবর্তনের পরে জম্মু–কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সেই অধিকার ভোগ করছেন যা গোটা দেশের মানুষ এতদিন ভোগ করে এসেছেন। আমরা জম্মু–কাশ্মীরের তৃণমূলস্তরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। করোনা অতিমারী এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী ঢোকানোর চেষ্টা সত্ত্বেও জম্মু–কাশ্মীরে সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের জোয়ার এসেছে।’‌ যদিও ভাটাটি দেখতে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।