স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের এক মন্ত্রীর মেয়ে সহ শতাধিক জনের চাকরি গিয়েছে। আর সেই সব নিয়োগের ঘটনা ঘটেছিল তৃণমূলের জমানায়।
রাজ্যের খাদ্যদফতরে ২০১০ সালে নিয়ম ভেঙে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ করা হয় এই ৬১৪ জনকে। ঘটনায় জেরে মামলা দায়ের হয় রাজ্যের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে। এবার সেই মামলাতেই ওই ৬১৪ জন গ্রুপ-ডি স্টাফের চাকরি বাতিল করে দিল স্যাট।
জানা গিয়েছে, বাম জমানার শেষের দিকে ২০০৮ সালে রাজ্যের খাদ্যদফতর গ্রুপ-ডি পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বের হয়। জমা পড়ে লক্ষাধিক আবেদন। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ না করে খাদ্যদফতর নিজে কেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও সেই সময় এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি। শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ৬১৪ টি গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের কোনও লিখিত পরীক্ষাই দিতে হয়নি। ২০১০ সালে ওই নিয়োগের ঘটনার জেরে প্রথমে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
২০১৬ সালের ১০ জুন কলকাতা হাইকোর্ট ওই মামলাটি শুনানি শেষে স্যাটে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেখানে চাকরি পাওয়া ওই ৬১৪ জনকে মামলার প্রতিপক্ষ হিসাবে যুক্ত করা হয়। এমনকি তাঁদের বাড়িতে বার বার নোটিসও পাঠান হলেও এদের একজনও স্যাটে আসেননি। কার্যত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি ঘটনা ঘটেছে এটা প্রমাণিত হতেই স্যাটের বিচারপতি সৌমিত্র পাল ও প্রশাসনিক সদস্য সৈয়দ আহমেদ বাবার বেঞ্চ ওই ৬১৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।