আবহাওয়া দপ্তরের পর এবার ইয়াস পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নবান্নে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে সামগ্রিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে কীভাবে গোটা রাজ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে সেখানেই থেকে গোটা রাজ্যের উপর চোখ রাখবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানিয়ে কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রীর পাশের চেয়ারেই বসেন রাজ্যপাল। দু’জনের সৌজন্য আলাপও হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে নিয়ে ইয়াসের মোকাবিলায় এই মুহূর্তে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল এম কে নারায়াণন নবান্নে গিয়েছিলেন। তাও সেটা নবান্নের উদ্বোধনে। এরপর আর কোনদিন রাজ্যপাল নবান্নে যাননি। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।
অন্যান্য সময় রাজ্যপালের মুখে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা শোনা গেলেও আজ তাঁর সুর কিছুটা নরম ছিল বলা চলে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার সব রকমের সক্রিয়তা দেখিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা এবার অনেক বেশি ব্যবস্থা করে রেখেছে। ভারতীয় নৌসেনাও বিশাখাপত্তনম থেকে বিশেষ দল নিয়ে এসেছে। এনডিআরএফও প্রস্তুত।’
নবান্নের কন্ট্রোল রুমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই পরিদর্শনে যান জগদীপ ধনকার। রাজ্যপাল জানান, তিনি প্রতিমূহূর্তে ইয়াস পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন। এমনকী সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর থেকেও খবর নিয়েছেন। বিশাখাপত্তনম থেকে নৌসেনার বাড়তি বাহিনী এসেছে। এবার কেন্দ্র-রাজ্য যেভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করছে, তা প্রশংসনীয়। প্রতিটা বিষয়েই এভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করা উচিত।
উল্লেখ্য, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ঘিরে উদ্বেগে বাংলা। শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে পৌঁছবে ইয়াস। রাজ্যের মধ্যে ঝড়ের মুখে সবচেয়ে বেশি পড়বে পূর্ব মেদিনীপুর। বুধবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০–১০০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিমি। তবে কলকাতায় ঝড়ের দাপট তুলনায় কম হবে।
