দেশ ব্রেকিং নিউজ

সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর কেন্দ্রের

ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলির নিয়ন্ত্রণে খসড়া নির্দেশিকা নিয়ে এল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। জানা গিয়েছে, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার পক্ষে ক্ষতিকারক এমন বিষয়গুলিকে নিষিদ্ধ করতে একাধিক মন্ত্রকের সমন্বয়ে খসড়া নির্দেশিকা নিয়ে এসেছে কেন্দ্র। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দেশের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম থেকে সরাতে হবে আপত্তিজনক কনটেন্ট। ভারতেও এবার সোশ্যাল মিডিয়া ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য চালু হল একগুচ্ছ নিয়মাবলী। ওয়েব সিরিজ থেকে চ্যাট শো, তথ্য চিত্র থেকে ওয়েব নিউজ সবই আসবে এই নিয়মের আওতায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বিষয়বস্তু সরকার অনুমোদন করবে না। তিনি বলেন, ‘‌আমরা দেখেছি মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হিংসা ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করছে।’‌ তিনটি স্তরে নজরদারি চলবে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি স্তরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ নথিভুক্ত হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ নথিভুক্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে তার সমাধান করবেন। মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্টগুলি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে সংস্থাগুলিকে। নিয়ম অনুসরণ করে প্রতি মাসে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা করবে তারা।
তবে ডিজিটাল মিডিয়াগুলিকে এখনই সরকারিভাবে নথিভুক্তিকরণ করা হচ্ছে না। তবে তাদের কাছ থেকে তথ্য চাইবে সরকার। সেই তথ্য জানাতে বাধ্য মিডিয়াগুলি। নির্দেশিউকায় বলা হয়েছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় একটি স্বতন্ত্র কমিটি তৈরি করবে। তার মাথায় থাকবেন সুপ্রিম কোর্ট অথবা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বা সমমর্যাদার কোনও বিচারপতি। ডিজিটাল মিডিয়া বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠলে এই কমিটি সেদিকে নজর রাখবে।
কোনও তথ্য বা ছবির বিরুদ্ধে ভারতের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে প্রথম সেই তথ্য কে বা কারা ছড়িয়েছিল তা জানাতে বাধ্য থাকবে সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ। ফেক নিউজের ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম পোস্ট করেছেন, তাঁর পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। খসড়া অনুযায়ী, তদারকির প্রক্রিয়াটিতে প্রতিরক্ষা, বিদেশ, স্বরাষ্ট্র, তথ্য ও সম্প্রচার, আইন, তথ্যপ্রযুক্তি এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জানা গিয়েছে, ওই কমিটির হাতে নিয়মাবলি লঙ্ঘনের অভিযোগে শুনানি আহ্বানের জন্য স্বত:প্রণোদিত ক্ষমতা থাকবে। কমিটি নীতি লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক, সেন্সরিং, ​​পরামর্শ বা তিরস্কার করতে পারে। এমনকী অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ক্ষমা চাইবার নির্দেশও দিতে পারবে। খসড়া নিয়মে এমনটাও বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশনের বিরুদ্ধে যায় এমন কোনও পোস্টের উৎস সন্ধানও করা যাবে।