ইউরো আসর শুরু থেকেই গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে হচ্ছিল ফ্রান্সকে। কিলিয়ান এমবাপ্পে, আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগও স্বস্তি দিচ্ছিল না ফরাসিদের৷ শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও গোল যেন ‘সোনার হরিণ’ হয়ে ওঠে প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়নি দিদিয়ের দেশমের দলকে।বেলজিয়ামের জমাট রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় ফ্রান্স।
সেটাও আবার আত্মঘাতী গোলে।সেই গোলে চড়েই ফ্রান্স পৌঁছে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
খেলার শুরু থেকেই দুই দলই সাবধানী ফুটবল খেলতে থাকে। কোনোরকম ঝুঁকি নেয়নি কেউই।
রক্ষণ আগলে রেখে সুযোগ বুঝে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তাতে অবশ্য কাজে আসেনি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কৌশল বদলে আক্রমণে মনোযোগী হয় ফ্রান্স। ফলে সুযোগ তৈরি হয় কিন্তু এমবাপ্পে, মার্কুস থুরামরা নিখুঁত ফিনিশিং করতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলের সঙ্গে আক্রমণেও এগিয়ে থাকে ফ্রান্স। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপ্পে। কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ান বেলজিয়ান গোলরক্ষক কোয়েইন ক্যাস্টেলস। আবার কখনো নিশানা খুঁজে পায়নি ফরাসি ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়ানোর অপেক্ষায় তখনি বাজিমাত করে ফ্রান্স।
৮৫ মিনিটে বদলি নামা কোলো মুয়ানির শট বেলজিয়ান ডিফেন্ডার জান ভারতোঙ্গেনের গায়ে লেগে দিক বদলে জড়িয়ে যায় জালে। আত্মঘাতী গোলেই শেষ আটে নিজেদের নাম লেখাল দেশমের দল।