বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের জন্য রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বললেন, ‘ইউক্রেন থেকে ৪২২ জন পড়ুয়া ফেরত এসেছিল। তাদের নিয়ে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আলোচনা করেছিলাম। কেন্দ্র সরকার অনুমতি দিলে আমরা ওদের সবার পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দিতে পারব। কারণ, তাঁরা কেরিয়ারকে বিসর্জন দিয়ে ফিরে এসেছে। আমরা দুমাস অপেক্ষা করলাম, কিন্তু কেন্দ্র কিছু করবে না বলে দিয়েছে। কেন্দ্র বলেছে, ওরা পোল্যান্ডে যাক, হাঙ্গেরিতে যাক, কিন্তু একবার যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাই আমরা কয়েকটি বুদ্ধি বার করেছি।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৪২২ জনকে ফেরত নিয়ে এসেছিলাম। এদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক পড়াশোনায় যুক্ত ৪১২ জন, এর মধ্যে ৪০৯ এমবিবিএস, ৩ জন ডেন্টাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ৬ জন, পশু চিকিৎসায় ছিল ১ জন, শ্রমিক ছিল ৩ জন। ইঞ্জিনিয়ারিং ৬ জনকে প্রাইভেট কলেজে ব্যাবস্থা করেছি। ডেন্টালের ১ জনকে ইন্টার্নশিপ করতে হবে কলকাতার সরকারি ডেন্টাল কলেজে। বাকি দুজন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া সরকারি কলেজে ক্লাস করতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি পশু চিকিৎসা পড়াশোনার কেন্দ্রে পড়াশোনা করতে পারবে। ষষ্ঠ বছরের পড়ুয়ার সংখ্যা মোট ২৩, তাঁদের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ইন্টার্নশিপ করার অনুমতি দিচ্ছি। ফিফথ্ ও ফোর্থ ইয়ারের পড়ুয়া মোট ৪৩ ও ৯২, মোট ১৩৫ জন, তাঁদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পড়ার। তৃতীয় ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া, মোট ৯৩ ও ৭৯, মোট ১৭২ জন তাঁরাও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের অনুমতি পাবে। প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের মোট সংখ্যা ৭৮, এদের মধ্যে যাঁরা নিট ক্লিয়ার করেছেন, তাঁরা বেসরকারি কলেজে কাউন্সেলিংয়ে বসার জন্য অনুমতি পাবে। এরা নতুন করে ভর্তির সুযোগ পাবেন।’