জেলা

রূপার হার ছিনতাইয়ে পাকড়াও তরুণী

বারাসতের কলোনি মোড় সংলগ্ন আবাসনে গৃহবধূর চোখে চিলি স্প্রে করে গলার হার ছিনিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। তবে ওই দুষ্কৃতী দলে থাকা এক তরুণীকে স্থানীয়রা পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারাসত জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনা শহরের অন্যান্য আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বারাসতের কলোনি মোড় সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কৈলাশ আবাসন। আবাসনের তৃতীয় তলায় থাকেন রূপা গাঙ্গুলির পরিবার। ফ্ল্যাটে রূপাদেবী একাই ছিলেন। পরিচারিকা কাজ শেষ করে সবেমাত্র পাশের ফ্ল্যাটে যাওয়ায় দরজা খোলা ছিল। রূপাদেবী ঘরের মধ্যে কাজ করছিলেন। তখন দুই তরুন ও তরুণী আচমকা ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। ধোপদুরস্ত পোশাক পরিহিত তরুণ ও তরুণীদের দেখে রূপাদেবী হকচকিয়ে যান। কিছু বোঝার আগেই অভিযুক্তরা গৃহবধূর চোখে চিলি স্প্রে করে। এমনকী, গৃহবধূ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করে মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর গলা থেকে সোনার হার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। হাতের সোনার বালা খোলার চেষ্টা করে। কিন্তু রূপাদেবী চোখের যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে আবাসনের অন্যান্য আবাসিকরা বেরিয়ে আসেন। আবাসনের নীচে থাকা শপিং মলের কর্মীরাও বাইরে বের হন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দ্রুত আবাসন থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করে চার দুষ্কৃতী।

স্থানীয়রা পিছু ধাওয়া করে দুষ্কৃতী দলের এক তরুণীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কিন্তু অপর তিন দুষ্কৃতী সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয়।
অভিযোগ, কৈলাশ আবাসনের মতো শহরের সিংহভাগ আবাসনে কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই। কখন কারা আসছেন, কারা বেরিয়ে যাচ্ছেন, তা জানার কোনও উপায় নেই। তাই আবাসনের নিরাপত্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন আবাসিকরা। এই বিষয়ে রুপাদেবী বলেন, শুধু চোখে চিলি স্প্রে দিয়েছে এমনটা নয়, মেরেও লেফতে পারত। আমায় মেঝেতে ফেলে মারধরও করেছে।