আর এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর কেচ্ছার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। পড়াশোনা করে বড় করা হবে বলে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হত এই আশ্রমে। তারপর চলত প্রবল যৌন নির্যাতন। যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফনগরের গৌড়ীয় মঠ আশ্রমে চলছিল এই জঘন্য কাণ্ড। অবশেষে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম স্বামী ভক্তিভূষণ মহারাজ। ওই আশ্রম থেকে ১০ জন নাবালককে উদ্ধার করেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। পুলিশ গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে ওই আশ্রমে হানা দেয়। আশ্রম থেকে ১০ জন নাবালককে উদ্ধার করেছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৭ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। এদের পড়াশোনার টোপ দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হত। আর তাদের ওপর যৌন নির্যাতন করা হত। রোমহর্ষক এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অসম, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম থেকে নাবালকদের পড়াশোনা করানো হবে বলে ওই আশ্রমে নিয়ে আসা হত। বেশিরভাগ গরীব পরিবার থেকেই এই বাচ্চাদের নিয়ে আসা হত। গরীব মানুষ ছেলেমেয়ে শিক্ষিত হবে এই আশায় আশ্রমে পাঠাতেন। এখন জানা গেল, জোর করে আশ্রমের সমস্ত কাজ করানো হত নাবালকের দিয়ে। চলত অনাচার। স্থানীয় লোকজন বহুবার বাধা দিতে গিয়ে আশ্রমের লোকজনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছেন।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের শিশুকল্যাণ দপ্তরের কর্তারা জানান, ওই আশ্রমে শিশুদের আনা হত পড়াশোনার টোপ দিয়ে। তারপর তাদের দিয়ে আশ্রমের কাজ করানো হত। সারাদিন চলত যৌন নির্যাতন। আশ্রমের মালিক স্বামী ভক্তিভূষণ মহারাজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখান থেকে শিশু পাচার হত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
