আজ গর্বের একশো বছরে পা দিল ইস্টবেঙ্গল। আজ পয়লা অগাস্ট। আজ গর্বের একশো ইস্টবেঙ্গলের। লাল–হলুদ আবিরে সমর্থকদের মেতে ওঠার দিন। তবে এই বছর ইস্টবেঙ্গলের একশো বছরের উদযাপন মাটি করেছে করোনা পরিস্থিতি। অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে দেশ, লড়াই চালাচ্ছে মহানগরীও। তাই জাঁকজমক দূরে সরিয়ে রেখে ময়দানের ক্লাব তাঁবুতে পালিত হল ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস।
শতবর্ষে পা ইস্টবেঙ্গলের। তবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আজ মাস্কে ঢাকা মুখ ফিকে করেছে উৎসবকে। সকালে ক্লাব তাঁবুতে লাল–হলুদ পতাকা উত্তোলন করে ইস্টবেঙ্গল দিবসের সূচনা করা হয়। ক্লাবের কর্তাদের পাশাপাশি সুভাষ ভৌমিক, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। পতাকা উত্তোলনের পর কেক কেটে ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপন করা হয়।
এরপর প্রকাশিত হয় ক্লাবের শতবর্ষের নানা ইতিহাস, বড় ম্যাচ জয়, তারকা ফুটবলারদের স্মৃতিচারণা, ক্লাবের নানা সাফল্যের কাহিনি আর আবেগ জুড়ে পুস্তিকা। অনেকেই ভেবেছিলেন আজ হয়তো বিনিয়োগকারীর নাম ঘোষণা করে শতবর্ষে চমক দেবেন ক্লাব–কর্তারা। তবে এই অনুষ্ঠানে তেমন কিছুই ঘোষণা করলেন না প্রণব দাশগুপ্ত, কল্যাণ মজুমদার, দেবব্রত সরকাররা। এমনকী এই বছর ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে কিনা তাও জানতে পারলেন না লাল–হলুদ সমর্থকরা।