উপনির্বাচনে যোগীর দল উত্তরপ্রদেশে জিতলেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি একদম পাল্টায়নি। নারী নির্যাতনের নিরিখে গোটা দেশে একদম ওপরের সারিতেই রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। নির্মমতার সমস্ত নজির ছাপিয়ে গেল কানপুরের শিশু খুন। ৬ বছরের শিশুর গণধর্ষণ, খুনের পর বের করে নেওয়া হল যকৃৎ। শিউড়ে ওঠার মতো এই খুনের সঙ্গে তুক–তাকের ভ্রান্ত বিশ্বাসও জড়িয়ে আছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
একটি বনাঞ্চলে রবিবার ৬ বছরের এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গণধর্ষণের পর তাকে খুন তো করা হয়েছে। তারপর মৃতদেহ থেকে বের করা হয়েছে শ্বাসযন্ত্র। ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত সবাই। স্ত্রীর সন্তানধারণের জন্য দরকার একটি শিশুর যকৃৎ। এমনই নারকীয় কুসংষ্কার থেকে অপহরণের ছক কষেছিল পরশুরাম কুরিল নামে এক ব্যক্তি।
দেওয়ালির রাতে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই কিশোরী। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অনুকূল কুরিল (২০) এবং বেরান (৩১) নামক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই কিশোরীর দেহ থেকে শ্বাসযন্ত্র বের করে মূল ষড়যন্ত্রকারী পরশুরাম কুরিলকে দিয়েছিল। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কালাজাদু করার জন্য শ্বাসযন্ত্র বের করে পরশুরামের হাতে তুলে দেয় অন্য দু’জন। সোমবার পরশুরামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে। সন্দেহ, পরশুরামের স্ত্রী গোটা ঘটনার বিষয়টি আগে থেকে জানতেন, কিন্তু কাউকে কিচ্ছু বলেননি।
জানা গিয়েছে, দীপাবলির রাতে ঘাতমপুর এলাকা থেকে ওই শিশুটিকে অপহরণ করে অনকূল কুরিল ও বীরেন নামে দু’জন। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তারা শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। প্রথমে অনকূল ও বীরেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রথমে কিছু স্বীকার করতে চায়নি পরশুরাম। কিন্তু পুলিশি জেরার চাপে সব প্রকাশ করে ফেলে সে। তার কথায়, ১৯৯৯ সালে বিয়ে হলেও এখনও কোনও সন্তানাদি নেই এই দম্পতির। তাই ওই কিশোরীকে গ্রেপ্তার করে তার শ্বাসযন্ত্র বের করে আনার হুকুম তার দুই ভাইপো, অনুকূল এবং বেরানকে দিয়েছিল সে।