উত্তরপ্রদেশের ৮ পুলিশকর্মীকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে অবশেষে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এক সপ্তাহ তাড়া করে বেড়ানোর পর বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির থেকে বিকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর। উত্তরপ্রদেশে তার দুই সহযোগী যখন দুটি পৃথক এনকাউন্টারে মারা যায়, ঠিক তখনই উজ্জয়িনী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিকাশকে।
গত দু’দিনে পুলিশি এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে বিকাশের তিন ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। বুধবার নিহত হয়েছিল অমর দুবে। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রভাত মিশ্র আর রনবীর নামক তার আরও দুই সঙ্গী নিহত হয়। কিন্তু তবুও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছিল বিকাশ। উজ্জয়িনীর জেলাশাসক আশিস সিং বলেন, ‘মহাকাল মন্দিরে ঢোকার মুখে নিরাপত্তারক্ষীরা বিকাশকে আটকায়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ চাপ দিলে নিজের পরিচয় জানাতে বাধ্য হয় বিকাশ।’
গত শুক্রবার কানপুরের চৌবেপুর এলাকার বিক্রু গ্রামে লুকিয়ে থাকা ডন বিকাশকে ধরতে গিয়ে এনকাউন্টারের সময় মৃত্যু হয় আটজন পুলিশকর্মীর। আগে থেকেই অভিযানের খবর পেয়ে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায় বিকাশ ও তার শাগরেদরা। এরপর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল এই অপরাধী। তার মাথার দাম রাখা হয়েছিল ৫ লাখ টাকা। খুন, অপহরণ, তোলাবাজি, সাম্প্রদায়িক হিংসা বাধানো–সহ ৬০টি মামলা রয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটু হোটেলের সিসিটিভি–তে দুবেকে দেখা যায়। সেই ফুটেজ দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই চম্পট দেয় বিকাশ। যদিও ধরা পড়ে যায় তার তিন সঙ্গী। এদের মধ্যেই একজন বৃহস্পতিবার সকালে নিহত হয় পুলিশের গুলিতে। দিল্লির হোটেলে বিকাশের উপস্থিতির খবর পাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ধরা পড়ে শাগরেদ প্রভাত। শীর্ষ পুলিশ কর্তা প্রশান্ত কুমার জানান, প্রভাতের সঙ্গে যে পুলিশকর্মীরা ছিলেন তাঁরা ভ্যানের টায়ার পালটাচ্ছিলেন। তখনই পুলিশের থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে প্রভাত। সে পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে গুলি চালায়, তখন পালটা গুলি চালায় পুলিশও। ধৃতের পায়ে গুলি লাগে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
