দেশ

আদালতে এলোপাথারি গুলি, খতম চার গ্যাংস্টার

আদালতের ভিতরেই তাণ্ডব চালালো গ্যাংস্টাররা। শুক্রবার দিল্লির রোহিণী আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। এলোপাথাড়ি গুলিতে এক দুষ্কৃতী–সহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির রোহিনী কোর্টে গ্যাংস্টারদের তাণ্ডব। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোগির। জিতেন্দ্র গোগি নামে কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যার বিরুদ্ধে ৫০টি জঘন্য অপরাধের মামলা রয়েছে। গ্রেফতারের পর শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করা হচ্ছিল। ঠিক তখনই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে আদালত চত্বরে। প্রতিপক্ষ গ্যাংয়ের তরফে গুলি চালানো হয় বলে সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লির কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীকে এদিন আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলতেই খুব কাছ থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁর পাশে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরাও গুলিবিদ্ধ হয়। ওই গ্যাংস্টার–সহ মোট চারজনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়েছে। হামলা করা হয় টিল্লু গ্যাংয়ের তরফে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। স্পেশাল সেলের বেষ্টনিতেই আদালত চত্বরে আসে গোগি। তখনই গোগির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী উকিলের পোশাকে এসে অভিযুক্তর উপর গুলিবর্ষণ করেন। পুলিসের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় চার গ্যাংস্টারের। প্রায় ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলেই খবর।

আদালতে প্রবেশের জন্য কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পার করে ঢুকতে হয়। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে আদালতের ভিতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ল গ্যাস্টাররা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আইনজীবীদের পোশাকে আততায়ীরা ঢুকে পড়েছিল। গোগীকে এজলাসে তুলতেই তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। চার দুষ্কৃতীরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ২ জন আইনজীবীও গুলিবিদ্ধ। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। আহত গ্যাংস্টারদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোগির উপরেই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে খবর।

জিতেন্দ্র গোগী মূলত দিল্লির বাইরে পানিপথ ও হরিয়ানার আশেপাশে নানা সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চালাত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৪টি খুনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের সবথেকে বড় প্রতিপক্ষ টিল্লুর গ্যাংই এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা। আচমকা এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আদালত এলাকায়। আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশ্নে রাজধানীর নিরাপত্তা।