জেলা

গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় নেই!

প্রতি বছরই গঙ্গাসাগর মেলায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভিড়ের চাপ এখন অনেকটাই কম। আদালতের ছাড়পত্র মিললেও মকর সংক্রান্তিতে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর পুণ্যার্থীদের ভিড় অনেকটাই কম গঙ্গাসাগরে। মকর সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে আজ শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা।
এদিকে গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার দাবি জানালেন পুরীর শংকরাচার্য। গঙ্গাসাগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‌সারা দেশের মানুষ এই মেলাতে আসেন। তাই সরকারের উচিত অবিলম্বে এই মেলাকে জাতীয় মেলার শিরোপা দেওয়া।’‌
অন্যদিকে যাঁরা এসেছেন তাঁরা কোভিড বিধি মেনে মকর সংক্রান্তির ভোরে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। যদিও ই–স্নানেই জোর দিয়েছে আদালত। পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত রয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাগর জুড়ে চলছে নজরদারি।
করোনা আবহকে সামনে রেখে এ বছর মেলাতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানান শঙ্করাচার্য। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মোহান্ত সঞ্জয় দাসজি ধন্যবাদ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলাতে মহড়া চলছে। ঘাট থেকে অধিক ভিড় আটকাতে নৌকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গনে তৈরি করা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম। বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত প্রায় ১১০০ সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে পুরীর শঙ্করাচার্য বলেন, ‘‌এই বছর কঠিন সময়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সব ধরনের সুবিধা, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে, গঙ্গাসাগরকে গ্রিন মেলা হিসাবে তুলে ধরেছেন, তা এককথায় সাধুবাদ যোগ্য। আগামী নির্বাচনে তিনি আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন।’‌ ভোর থেকে চলছে পুণ্য স্নান। সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে অন্যবারের তুলনায় ভিড় এবার অনেকটাই কম। ফলে বাড়ছে ই–স্নানের কদর। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরাকে সঙ্গে নিয়ে কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেন এবং মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জয় দাসের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন।