দেশ লিড নিউজ

একদিনে দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৯০ হাজার

দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার মানুষ। আর এই পরিসংখ্যান ভয় ধরাতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলেন ৮৯ হাজার ১২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭১৪ জনের। আর একদিনে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মাত্র ৪৪ হাজার ২০২ জন। এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯০৯। এই পরিসংখ্যান প্রত্যেকদিনই চিন্তা বাড়িয়ে চলেছে।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ। দৈনিক সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলছে প্রশাসনকে। সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখে দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯২ হাজার ৬০৫ জন। এরপর থেকেই ক্রমশ কমছিল করোনার গ্রাফ। সেপ্টেম্বর মাসের পর এই রেকর্ড সংক্রমণ বৃদ্ধি বড় বিপদের আগাম সংকেত বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
এই মুহূর্তে দেশের ৫ রাজ্যে চলছে ভোট। আর এই নির্বাচনী মরশুমেই হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশে মোট কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৯২ হাজার ২৬০। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৪১জন। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১১০। আইসিএমআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬০৫। যদিও করোনা যুদ্ধে লড়াইয়ে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন—এই জোড়া প্রতিষেধক দিয়ে দেশে গণটিকাকরণ শুরু হয়েছে।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক করোনা পরিস্থিতি। এই প্রেক্ষিতে সে রাজ্যে লকডাউন জারি করা হতে পারে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে লকডাউন জারির ব্যাপারে কিছুদিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মানুষ যেহেতু করোনায় সুরক্ষাবিধি মানছে না, তাহলে লকডাউনের জন্য প্রস্তুত থাকুন।
দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ১১ রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। মহারাষ্ট্র, কেরল–সহ এই ১১ রাজ্যের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়েই বাড়ছে চিন্তা। মহারাষ্ট্রের পুণে–সহ একাধিক স্থানে নাইট কারফিউ-সহ জারি আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ৬ জেলায় নতুন করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আচমকা বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ রুখে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে আরও একদফা কড়াকড়ির পথে হাঁটছে দেশ।