জেলা রাজ্য

লকডাউনে চালু বিনামূল্যের বাজার

দেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যে হারে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে লকডাউন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা খোলা নেই। দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল আটকাতে লকডাউনের যেমন প্রয়োজন, তেমনি হকার, দিনমজুর কিংবা দৈনিক রোজগারের প্রয়োজন আছে বলে নবান্ন থেকে জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কারণ এই রোজাগারের উপর যাদের সংসার চলে, তাঁদের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। পরিবারের মুখে দু’‌বেলা খাবার তুলে দিতে পারছেন না তাঁরা। সব মিলিয়ে জেরবার গারুলিয়া পুরসভার অন্তর্গত ৭টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৭০০ পরিবার। এখানে কেউ দিনমজুর, কেউ হকারি করেন, আবার রাজমিস্ত্রির পেশার সাথে জড়িত বহু মানুজন। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার পথে নামলেন গারুলিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন দাস। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং ঠিকাদারদের সাহায্য নিয়ে নিজের ওয়ার্ডে চালু করেন বিনামূল্যে বাজার।
কাউন্সিলার তপন দাস দুঃস্থ মানুষদের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা মেনে গারুলিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সপ্তাহে একদিন করে বিনামূল্যে বাজার চালু করেছেন তিনি। এই বাজারে ১৪ রকমের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের সদস্য সংখ্যা বিচার করে পরিবার পিছু সবজি বাজার দেওয়া হচ্ছে। আর তার সঙ্গে পরিবার পিছু দেওয়া হচ্ছে ২টো করে ডিম। এই বিনামূল্যে বাজার বসেছে একটি ফাঁকা মাঠে। সমস্ত কর্মকাণ্ড নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন কাউন্সিলার তপন দাস।
তপন দাস জানান, লকডাউন বাড়বেধরে নিয়েই সবজি বাজার করার ভাবনা মাথায় আসে। ব্যক্তিগত পুঁজির পাশাপাশি কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সাহায্য চাই। তারপর ভোটার তালিকা দেখে বিপিএল কার্ড হোল্ডারদের তালিকা তৈরি করি। সেই তালিকার ভিত্তিতে ৭টি ওয়ার্ডের ২৫০ পরিবার বিনামূল্যে বাজারের সুবিধা পাচ্ছে। যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন এই বিনামূল্যে বাজারও চলবে। রবিবার করে বসছে বিনামূল্যের বাজার।